শ‍্যামাপ্রসাদ কান্ডে জোরদার তদন্ত চলছে : বিষ্ণুপুর পৌরসভায় হাজির তদন্তকারীরা

24th August 2021 6:47 pm বাঁকুড়া
শ‍্যামাপ্রসাদ কান্ডে জোরদার তদন্ত চলছে : বিষ্ণুপুর পৌরসভায় হাজির তদন্তকারীরা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : - 'শ্যামকাণ্ডে'র তদন্তে জোরকদমে এগোচ্ছে বিষ্ণুপুর পুলিশ! বিকেলে পৌরসভায় হানা! সন্ধ্যায় প্ৰাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসারকে তলব করে জেরা !

বিষ্ণুপুর টেন্ডার দুর্নীতি কাণ্ডের নতুন কিছু মোড় আসায় এবার জোরকদমে এই মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আজ সকালে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পৌর প্রশাসক শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ও তার পরিবারের ব্যাংক একাউন্টে নজরদারির পর আজ বিকেলে ফের বিষ্ণুপুর পৌরসভায় হানা দেয় পুলিশ কর্তারা। আজ বিকেল ৪.৪৫ নাগাদ বিষ্ণুপুর পৌরসভায় আসেন বাঁকুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গনেশ বিশ্বাস, বিষ্ণুপুর এসডিপিও কুতুব উদ্দিন খান এবং বিষ্ণুপুর থানার আইসি নন্দন কুমার মন্ডল। এদিন তারা পৌরসভায় এসে বেশ কিছুক্ষণ থাকেন। বিষ্ণুপুর পৌরসভার অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি রবীন্দ্রনাথ সরকারকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ঘন্টাবধি। এরপর সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বিষ্ণুপুর থানায় তলব করা হয় বিষ্ণুপুর পৌরসভার প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ অফিসার দিলীপ গড়াইকে এবং সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে পুলিশ এই আধিকারিক ও প্রাক্তন আধিকারিকদের ঠিক কি বিষয়ে জেরা করেছেন সে বিষয়ে মুখ খোলেননি কেউই। অনুমান করা হচ্ছে, বিষ্ণুপুরের বুকে এই বিশাল টেন্ডার দুর্নীতি ও শ্যাম কাণ্ডের গভীরে গিয়ে তদন্তের সাপেক্ষেই চলছে পুলিশের এই জেরা।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।